মুরাদ উইলফ্রেড হফম্যান
মুরাদ উইলফ্রেড হফম্যান-এর জন্ম হয়েছিল ১৯৩১ সালের ৬ই জুলাই, জার্মানীর Aschaffenburg-এর এক ক্যাথলিক পরিবারে- যেখানে তিনি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বছরগুলো কাটিয়েছেন এবং “কৌশলগত বোমাবর্ষণ” তথা সামরিক দখলের অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয় ১৯৫০ সালে, New York-এর Schenectady-তে Union Collage-এ। ১৯৫৭ সালে Munich University থেকে আইনের পারদর্শিতার উপর একটা ডক্টরেট ডিগ্রী এবং বার-এর পরীক্ষার মাধ্যমে, তিনি জর্মান আইনের উপর তার প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার সমাপ্তি টানেন। এর পর পর আমেরিকার আইনের উপর পড়াশোনা করতে গিয়ে, ১৯৬০ সালে তিনি প্রখ্যাত Harvard Law School থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন।
১৯৬১-১৯৯৪ সময়কালে তিনি জার্মান পররাষ্ট্র বিভাগে কর্মরত ছিলেন এবং পারমাণবিক প্রতিরক্ষার বিষয়াবলীর একজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন। এছাড়াও তিনি Brussels-এ (১৯৮৩-৮৭)NATO- এর তথ্য পরিচালক হিসেবে, আলজেরিয়ায় (১৯৮৭-৯০) এবং মরোক্কোয় (১৯৯০-১৯৯৪) জার্মান রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮০ সালে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন, ১৯৮২-তে উমরাহ্ পালন করেন এবং ১৯৯২-তে তিনি হজ্ব করেন। ১৯৮৫-তে তিনি Diary of a German Muslim-এর জার্মান সংস্করণ প্রকাশ করেন, যা কিনা আরবী, ইংরেজী ও ফরাসী ভাষায়ও পাওয়া যায়।
১৯৯২ সালে তাঁর লেখা বই Islam the Alternative যখন জার্মান ভাষায় প্রকাশিত হয়, তখন গণ-মানুষ পর্যায়ে একটা হৈচৈ পড়ে যায়। জার্মান গণ-মাধ্যম তথা সংসদে, বামপন্থী ও নারীবাদীরা তাকে “মৌলবাদী” বলে আখ্যায়িত করে তাঁর বিরুদ্ধে জঘন্য প্রচারণা ও আক্রমণ চালায়। এই বইখানাও আরবী ও ইংরেজী ভাষায় পাওয়া যায়। এছাড়া Voyage to Makkah বইখানির প্রকাশনা ১৯৯৬ সালের গোড়ার দিকে নির্ধারিত।
তাঁর পরলোকগত প্রথম (আমেরিকান) স্ত্রীর পক্ষ থেকে, জনাব হফম্যান-এর একজন পুত্র সন্তান রয়েছে। অবসর গ্রহণের পর, তিনি তাঁর তুর্কী স্ত্রীর সাথে ইস্তাম্বুল-এ বসবাস করছেন।