পরিচিতিঃ
‘সঞ্চারণ’ বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ এবং জ্ঞানের বিভিন্ন শাখার বিশেষজ্ঞদের প্রবন্ধ বাংলা ভাষায় অনুবাদ ও প্রকাশের অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রম।

 

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
তরুণ সমাজকে আধ্যাত্মিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ইসলামী চিন্তাধারার ঐতিহ্য ও সমসাময়িক ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে সচেতন করা।

 

চিন্তা ও দর্শনঃ
বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় ইসলামের যে পুনর্জাগরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। ইসলামের ঐতিহ্যকে ধারণ করে ইসলামের চিরন্তন মূলনীতির ভিত্তিতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিক ও সামাজিক সমস্যার সমাধানে সৃজনশীল চিন্তার প্রয়োজন। আশার বিষয় হল অতীতের তুলনায় বর্তমানে তরুণ সমাজ ইসলাম নিয়ে অধিক আগ্রহী। তরুণদের এই আকাংখাকে আধ্যাত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষতার ভিত্তিতে সামাজিক অবদানে রুপান্তর করার মাধ্যমেই উজ্জ্বল ভবিষ্যত বিনির্মাণ সম্ভব।

এ প্রেক্ষিতে “সঞ্চারণ” আধ্যাত্মিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সামাজিক সচেতনতা তৈরীতে ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।

মানুষের জীবনের আধ্যাত্মিক স্বরুপকে জীবন্ত করে তোলা আমাদের লক্ষ্য। আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে জীবনের গভীর অর্থ অনুধাবনের জন্য  সঞ্চারণ প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু তুলে ধরে। পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে ইসলামী মূল্যবোধের প্রায়োগিক দিক নিয়ে সঞ্চারণ আলোচনা করে। হাক্কুল্লাহ, হাক্কুল ইবাদ, তাকওয়া, আদব, আখলাক ইত্যাদি বিষয়সমূহের উপর উলামা ও দাঈদের লেখনী প্রকাশের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা সঞ্চারণের উদ্দেশ্য।

জ্ঞান ও চিন্তার জগতের নানাবিধ বিষয়ের তাত্ত্বিক আলোচনাকে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে সঞ্চারণ উপস্থাপন করে। উসূল, ফিকাহ, দর্শন, সমাজতত্ত্ব, ইতিহাস, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ  জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি ও তুলনামূলক আলোচনা পাঠকের কাছে তুলে ধরে সঞ্চারণ।

আধ্যাত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সচেতনতাকে সামাজিক অবদানে রুপায়িত করার উপর সঞ্চারণ জোর দেয়। সামাজিক সমস্যা নিরুপণ ও এসব বিষয়ের সমাধানে সচেতন ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করার দিকে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করা সঞ্চারণের উদ্দেশ্য। এ প্রেক্ষিতে সঞ্চারণ নারী, দাম্পত্য, শিশু ও পরিবার, তারুণ্য ইত্যাদি বিষয়েও দিক-নির্দেশনামূলক প্রবন্ধ প্রকাশ করে।

২০১৪ সালের ১২ জুলাই সঞ্চারণ ওয়েব পোর্টাল হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।