আল-ফারাবি এবং সভ্যতার হারিয়ে যাওয়া ধারণা

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক দার্শনিকদের অন্যতম একজন হলেন আবু নাসর মুহাম্মাদ ইবন মুহাম্মাদ আল-ফারাবি (৮৭২-৯৫০)। অধিবিদ্যা (metaphysics), জ্ঞানতত্ত্ব অথবা রাজনৈতিক চিন্তার ক্ষেত্রে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা কখনো হারিয়ে যায় না। ইবনে ফারাবির ‘নৈতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত নগর’ (আল-মাদিনাহ্ আল ফাদিলাহ্) ধারণাটি ইসলামী এবং গ্রীক নীতিশাস্ত্র ও রাজনৈতিক চিন্তাব্যাবস্থার সর্বোচ্চ পর্যায় প্রতিনিধিত্ব করে।

তিনি নগর জীবন, সভ্যতা এবং অধিবিদ্যার মাঝে একটি সংযোগ সৃষ্টি করেছেন। যদিও এই ধারণাগুলো সঠিক অর্থে আমাদের পৃথিবী থেকে হারিয়ে গিয়েছে, কিন্তু মানুষের উপযুক্ত আবাস হাজির থাকার জন্যে এই ধারণাগুলোর পারস্পরিক সংযোগ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আল-ফারাবির এই সংযোগ প্রচেষ্টাকে তাই পুনরুদ্ধার করার প্রয়োজন রয়েছে।

১৭৫৭ সালে ‘সভ্যতা’ শব্দটি প্রথম যখন ভিক্টর রিকেতি মিরাবু তার “মানুষের বন্ধু বা জনগণের চুক্তিনামা” (L'ami des hommes ou traité de la population) শীর্ষক গ্রন্থে ব্যবহার করেছিলেন, তখন থেকেই এই শব্দটির সাথে একটি বাজে ইতিহাস জড়িত ছিল। শব্দটির এহেন খারাপ পরিচয় ইউরোপীয় উপনিবেশবাদের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে। উপনিবেশবাদীরা তাদের তথাকথিত “সাদা মানুষের গুরুদায়িত্ব” এবং “সভ্যায়ণ কর্মসূচি”–কে ন্যায্যতা প্রদানের জন্যে ‘সভ্যতার’ ধারনাটি ব্যবহার করেছিল।

১৮ শতাব্দীতে এসে পৃথিবীটা সুস্পষ্টভাবে ‘সভ্য’ ও ‘অসভ্য’ দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এটি আশ্চর্যজনক নয় যে, ইউরোপ প্রতিনিধিত্ব করেছিল সভ্যতার, এবং পৃথিবীর বাকি অংশটা আদিমতা আর বর্বরতার। সভ্য জাতিগোষ্ঠীর মাঝে শামিল হবার জন্য অসভ্য জাতিগুলোর প্রয়োজন হয়েছিলো পশ্চিমা সভ্যতার যাদুকরী এবং প্রায়ই কঠোর স্পর্শের।

প্রায় দুই শতাব্দী পর একবিংশ শতাব্দীতে যখন স্যামুয়েল হান্টিংটন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর তাঁর বিখ্যাত একটি তত্ত্ব প্রকাশ করেন, সেখানে সভ্যতার পরিবর্তে সরাসরি “সংঘাত”-কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল। হান্টিংটন পুরাতন উপনিবেশবাদীদের মত ছিলেন না ঠিক, কিন্তু তাঁর ‘সংঘাত তত্ত্বটি’ শেষে গিয়ে ক্লাসিক্যাল পশ্চিমা উপনিবেশবাদেরই কাছাকাছি একটি ধারণাকে সমর্থন দিয়েছে। তাঁর সংঘাত তত্ত্বের বাজারীকরণের ফলে যে প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে, আমরা এখনো তা মোকাবেলা করছি।

সভ্যতা শব্দটির আজ যে অপব্যবহার হচ্ছে, সেখানে একজন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারক হিসাবে আল-ফারাবিকে আনা যেতে পারে। তাঁর রাজনৈতিক মডেল যেটিকে তিনি ‘নৈতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত নগর’ (আল-মাদিনাহ্ আল ফাদিলাহ্) হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তা প্লেটো-এরিস্টটলীয় চিন্তার এবং সেইসাথে ইসলামের উন্নত জীবন, সুখ ও অধিবিদ্যা ধারণাগুলোর ভিত্তির উপর নির্মাণ করা হয়েছে। তাঁর মৌলিক প্রস্তাবনাটা হল অধিবিদ্যা এবং নৈতিকতার ভিত্তি ব্যতীত কোনো সভ্যতা ও নগর জীবন হতে পারে না।

শহর হচ্ছে মানব জীবনের সার্বিক মানোন্নয়নের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট একটি সামষ্টিক ব্যাবস্থা। শহর মানুষের সত্ত্বাগত একটি প্রয়োজন; কারণ, কোনো মানুষ একা একা বাস করতে পারে না, এবং একা একা তার নিয়তি পূর্ণ করতে পারে না। ‘একজন মানুষ নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং তার সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধনের জন্যে’ তার অন্য মানুষের প্রয়োজন হয়।

মানুষের সমষ্টিগত জীবনের উদ্দেশ্য হোলো তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং নৈতিক উৎকর্ষ সাধন করা। এ কারণে মানুষের সত্ত্বা ও নৈতিকতার ধারণা একটি অর্থপূর্ণ শহরের আকার গড়ে তুলতে ভুমিকা রাখে, যেখানে কেবল পাশবিক বাসনা পূরণ এবং অন্যের উপর আধিপত্য জাহির করা প্রধান নয়, বরং একটি সুখী জীবনযাপন করাই উদ্দেশ্য - এরিস্টটলের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘উন্নত জীবন’।

আর যাই হোক না কেনো, সমষ্টিগত জীবন জরুরীভাবে একাই কল্যাণের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। মানুষের সকল কার্যক্রমই নৈতিক পছন্দ ও অপছন্দের দ্বারা পরিচালিত হয়, তাই, শহর ভালোও হতে পারে, খারাপও হতে পারে। জ্ঞান, প্রজ্ঞা, সত্য এবং পারস্পারিক সহানুভূতির উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে যে শহরের বাসিন্দারা তাদের বুদ্ধিমত্তা ও ইচ্ছাশক্তির ব্যবহার করে এবং সর্বসাধারণের ভালোর জন্যে কাজ করে সেটাই একটি ভালো শহর। অর্থনৈতিক শক্তিমত্তা, সামরিক বা তথ্যপ্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠতার কারণে একটি শহর, দেশ বা সাম্রাজ্য মানব আবাসস্থল হিসেবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠে না, বরং নৈতিক সংশোধন ও আধ্যাত্মিক সুখের অঙ্গিকারই মানব আবাসস্থলকে আকাঙ্খিত করে তোলে।

ন্যায়-নীতিপূর্ণ একটি শহর এবং বৃহত্তর ক্ষেত্রে একটি সভ্যতার সবার আগে বস্তুগত ভিত্তিমূলের পরিবর্তে বরং একটি অধিবিদ্যিমূলক ভিত্তিমূল থাকে। আল-ফারাবীর সংজ্ঞা অনুসারে, সুখ ও উন্নত জীবন কেবল তখনি লাভ করা যায়, যখন কেউ সত্যের সন্ধান পায় এবং ‘বিমূর্ত বুদ্ধিমত্তার (disembodied intellect) সাথে একতাবদ্ধ হয়’ অর্থাৎ বস্তুগত আবেদন ও কামনার বেড়াজালে আবদ্ধ এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর বাইরে বোধগম্য সত্যের দুনিয়া।

‘সত্য’ ব্যতীত আমরা না পারব প্রকৃতির হক আদায় করতে, আর না পারব মানুষের প্রতি ন্যায়বিচার করতে। যদিও মানব সমাজ তাদের নগর জীবনের বস্তুগত ভিত্তিকে অগ্রাহ্য করতে পারে না; সুতরাং, বিষয়টি পৃথিবীকে বর্জন করার ব্যাপারে না, বরং পৃথিবীকে তার উপযুক্ত স্থানে রাখা এবং এর ভিতরে নিমজ্জিত না হওয়া।

আল ফারাবি নগর জীবন ও সভ্যতার অধিবিদ্যামূলক ভিত্তির উপর এতই জোরালোভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন যে তাঁর রাজনৈতিক লেখনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিনি অধিবিদ্যা (metaphysics), সৃষ্টিতত্ত্ব (cosmology) এবং তত্ত্ববিদ্যার (ontology) জন্যে উৎসর্গ করেছেন। তিনি তাঁর পাঠকদেরকে রাজনীতি বুঝার আগে সত্তা ও অস্তিত্বের গুরুত্বপূর্ণ ক্রমধারাটা (great chain of being) বুঝার আহবান জানিয়েছেন। ইসলামী বুদ্ধিভিত্তিক ঐতিহ্যের প্রকৃতি অনুসারে এটা বোধগম্য যে আসমানি আদেশের মৌলিক রীতিনীতি অনুধাবন করা ব্যতীত কোনো ধরণের রাজনৈতিক ব্যাবস্থাই টিকে থাকতে পারে না।

মানবজাতি তার অস্তিত্বের সার্বিক প্রাসঙ্গিকতা যে প্রেক্ষাপটে আমরা বুদ্ধিমান ও স্বাধীন মানুষ হিসেবে বসবাস করি তা বোঝাপড়াই না আনলে কোন সামাজিক-রাজনৈতিক জীবন সুখ বয়ে আনবে না এবং জীবন পরিপূর্ণতা পাবে না। সত্য, প্রজ্ঞা ও ন্যায়-নীতি এই ধারণাগুলোর সাথে বিভিন্ন জাতি একমত না হলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না।

ইবন সিনা তাঁর মাস্টারপিস ‘শিফা’-এর মধ্যে এই বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, কিছু ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করা ব্যতীত মানুষের পারস্পরিক সহযোগিতাগুলো অর্থপূর্ণ হয়ে উঠে না; আর তা তখনি কেবল সম্ভব হয়, যখন মানুষ সঠিক পথ (সুন্নাহ্) এবং ন্যায়-নীতি (‘আদল)-এর দ্বারা পরিচালিত হয়। দেখুন, ইবনে সিনা এখানে সমষ্টিগত জীবন, নগরায়ন এবং সভ্যতাকে উচ্চতর নৈতিক ভিত্তির উপর স্থাপন করার জন্যে ‘সুন্নাহ’ শব্দটি ব্যাবহার করেছেন। এখানের ‘সুন্নাহ্’ শব্দটি এবং রাসূল (স)–এর সুন্নাহ্—শব্দ দুটি একই। রাসূল (স)–এর সুন্নাহ্ হোলো এমন একটি সঠিক পথ যা বিশ্বাস, বুদ্ধিমত্তা ও সৎকাজের উপর ভিত্তি করে জীবন পরিচালনার রূপরেখা প্রদান করে।

ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (স)-ই প্রথম ব্যক্তি যিনি সঠিক পদ্ধতিতে মদিনায় একটি ইসলামী শহর গড়ে তোলেন। মদিনার মুসলিম শাসনের একদম শুরুর দিকের মুসলিম সমাজ সেখানে শুধু নগর জীবনের স্বাদ-ই পায়নি, বরং একটি সভ্যতার ভিতরে থাকার অভিজ্ঞতাও লাভ করেছিলো। মদিনার এই অভিজ্ঞতাই ভবিষ্যৎ ইসলামী সভ্যতার ভিত্তি তৈরি করেছিল। শাব্দিক উৎপত্তির দিক থেকে আরবি ও পশ্চিমা ভাষাগুলোতে ‘শহর’ ও ‘সভ্যতা’ শব্দ দুটি সাদৃশ্য রাখে যেটি ন্যায়নীতিপূর্ণ শহর ও সভ্যতার মধ্যে সংযোগ স্থাপনে ভূমিকা রাখে। ইবনে সিনা শাব্দিক এ বিষয়টা খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছেন, এবং একটি অর্থপূর্ণ সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের জন্যে সত্য-ন্যায়বিচারের সঠিক পথের গুরুত্ব কেমন তা উল্লেখ করেছেন।

আমরা আজ বৈশ্বিক যে দুর্যোগের মুখে আছি, সেখানে নগর জীবন এবং সভ্যতার এই অর্থগুলো আমাদের পুনরুদ্ধার করা উচিত। সভ্যতাকে সাম্রাজ্যবাদ ও দখলদারিত্বের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার না করে আমাদেরকে সত্য, পুণ্য, বোঝাপাড়া ও সহমর্মিতার মূলনীতির উপর ভিত্তি করে সভ্যতা গড়ে তুলতে হবে।

সূত্রঃ Daily Sabah

১১৯৫

বার পঠিত

ইব্রাহিম কালিন

ড. ইব্রাহিম কালিন বর্তমান যুগের অনন্য মুসলিম চিন্তাবিদ ও দার্শনিক। তাঁর জন্ম সাবেক উসমানিয়া খেলাফতের প্রাণকেন্দ্র তুরস্কে। তিনি দর্শন শাস্ত্রে পড়াশোনা করেন। তিনি তাঁর পিএইচডি ডিগ্রিও নেন দর্শন শাস্ত্রে। তাঁর ‘পিএইচডি’র সন্দর্ভের শিরোনাম ছিল “Knowledge as Appropriation: Sadr al-Din al-Shirazi (Mulla Sadra) on the Unification of the Intellect and the Intelligible”তাঁর পিএইচডি অ্যাডভাইসরি বোর্ডে বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ মুসলিম দার্শনিকদের অন্যতম ড. সাইয়্যেদ হোসাইন নাসেরও ছিলেন। ডঃ ইব্রাহিম কালিন বর্তমানে তুরস্কের প্রেসিডেণ্টের বিশেষ উপদেষ্টা। এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপ-নিম্নসচিব, প্রধানমন্ত্রীর সিনিয়র উপদেষ্টা ও সরকারী কূটনীতির পরিচালক ছিলেন। তিনি জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের “প্রিন্স আল-ওয়ালিদ সেন্টার ফর মুসলিম-খ্রিস্টিয়ান আন্ডারস্টান্ডিং” এর একজন সম্মানিত ফেলো।

 শিক্ষকতা জীবনে তিনি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন। ২০০১ সালে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়, ২০০২ সালে মেরি ওয়াশিংটন কলেজে, ২০০২ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত কলেজ অফ দ্যা হলি ক্রোসে শিক্ষকতা করান। তিনি ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত “SETA Foundation for Political, Economic and Social Research”, (আঙ্কারা)-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০০৮ সালে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে, ২০১০ সালে বিলকেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, আঙ্কারায় এবং ২০১১ সালে টোব্ব (TOBB) বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এসময়ে তিনি যেসব বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছেন সেগুলো হলোঃ ইসলাম পরিচিতি, কোর’আন পরিচিতি, ইসলাম ও পশ্চিমা বিশ্ব, ইউরোপ ও মধ্যপ্রচ্য, ইসলামী দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, সুফিবাদ, ইসলাম ও আধুনিক বিশ্ব, তুরস্কে ধর্ম ও রাজনীতি এবং বিশ্ব-রাজনীতিতে তুরস্ক।

তাঁর রচিত গ্রন্থসমূহ হলোঃ 1. Oxford Encyclopedia of Philosophy, Science and Technology, Editor-in-Chief; associate editors Salim Ayduz and Caner Dagli, Oxford University Press, 2 Vols. (forthcoming 2014). 2. Mulla Sadra, Oxford University Press (2013). 3. Metaphysical Penetrations, Mulla Sadra, translated by S. Hossein Nasr, edited with notes and introduction by Ibrahim Kalin, Brigham Young University Press, (2013). 4. War and Peace in Islam: The Uses and Abuses of Jihad, edited together with M. Ghazi bin Muhammad and M. Hashim Kamali (Cambridge: The Islamic Texts Society, 2013). 5. Islamophobia: The Challenge of Pluralism in the 21st Century, co-ed. with John Esposito (New York: Oxford University Press, 2011) 6. (ed.) 2000’li Yıllarda Türk Dış Politikası (“Turkish Foreign Policy in the 2000s) (Meydan Yayinlari, İstanbul, 2011). 7. Knowledge in Later Islamic Philosophy: Mulla Sadra On Existence, Intellect and Intuition, তিনি এছাড়াও অনেক বইয়ের রিভিউ লিখেছেন, লিখেছেন অনেক গবেষণা প্রবন্ধ। বর্তমানে তিনি Daily Sabah পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। তাঁর ভাষাদক্ষতার আওতায় আছে আরবি, ফারসি, তুর্কি ও উসমানী তুর্কি। এছাড়াও তিনি ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় ব্যুৎপত্তি অর্জন করেছেন।