পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের ইসলাম অধ্যয়ন

ইসলাম এখনও এর মধ্যযুগীয় সময়ে বিরাজমান, এই সরলীকৃত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করতে আমাদের অবশ্যই ইসলামকে একাডেমিকভাবে অনুধাবন করতে হবে। কেবল আত্ম-স্বার্থে তাড়িত হয়ে নয়, ইসলামের খাতিরেই এ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামিক স্টাডিজে আগ্রহ বেড়েছে, কিন্তু সবক্ষেত্রেই তা ইতিবাচক কারণে ঘটেনি। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যায়ে এবং বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের মাঝে ঔপনিবেশিত অংশের জনসাধারণের ধর্মীয় প্রণোদনা বোঝার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে যুগ যুগ ধরে নিজেদের স্বার্থরক্ষার খাতিরে ইসলামকে অধ্যয়ন করাটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়; বস্তনিরপেক্ষ একাডেমিক অধ্যয়ন ছিলো না বললেই চলে।

এই অবস্থান থেকে আমরা আজ কতটুকু অগ্রসর হয়েছি? ইসলামিক স্টাডিজ এখনও সমানতালে একাডেমিক পরিমন্ডলের বাইরের উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।

পশ্চিমা সমাজ ইসলাম সংশ্লিষ্ট তিনটি স্বতন্ত্র বিষয় নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেঃ

একটি নতুন ও দৃশ্যমান পাশ্চাত্য মুসলিম প্রজন্ম, ক্রমবর্ধমান অভিবাসন এবং সন্ত্রাসবাদ যাকে পাশ্চাত্য ও ইসলামিক বিশ্ব উভয়ের জন্য হুমকি হিসেবে গণ্য করা হয়।

আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিভিন্ন দিকও যেমন- ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত, আফগানিস্তান ও ইরাকে যুদ্ধ, ইরানের বিরুদ্ধে হুমকি, ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের সদস্যপদ ঝুলে থাকা এই ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। কারণ আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষিতে সহিংস ইসলামপন্থার সম্ভাব্য বিপদসমূহকে বুঝা, প্রতিরোধ করা এবং এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য একাডেমিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

মৌলিক প্রশ্নগুলোকে সভ্যতার সংঘাতের আলোকে প্রায় সময়ই সাদা-কালো ফ্রেমে সাজানো হয়। সহিংস ইসলামপন্থা বুঝতে, প্রতিরোধ করতে, এর উপর প্রভাব বিস্তার করতে এমনকি এটার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ইসলামিক স্টাডিজ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।

ইসলাম, মুসলিম, পরিচিতি সংকট, অভিবাসন, ইসলামপন্থা, প্রতিক্রিয়াশীলতা, সহিংসতা এবং সন্ত্রাসবাদের উপর সমাজবিজ্ঞানী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞদের দিস্তা-দিস্তা গবেষণাপত্র দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই কাজগুলোর অধিকাংশই সরকারি এজেন্সি ও বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান দ্বারা অর্থায়ন ও গৃহীত হয়। অতীতের মতো এখনও নন-একাডেমিক মানদণ্ডে গবেষণাকাজ পরিচালিত হচ্ছে ও এই মানদণ্ডগুলোই গবেষণা কর্মকে ন্যায্যতা দিচ্ছে।

ইসলামিক স্টাডিজ সম্পর্কে সচেতনভাবে তৈরী করা এই ধারণা ইসলামের কয়েক শতাব্দীর ফিক্‌হী ঐতিহ্য, দর্শন, সুফিবাদী চিন্তাধারা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বকে সংকুচিত করে একে গৌণ করে তুলে। ইরাক যুদ্ধের বাস্তবতার বাইরে সুন্নী ও শিয়া এই দুই ধারার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং শতাব্দীকাল ধরে চলে আসা পারস্পরিক সম্পর্ক কেবল কথার কথায় পরিণত হয়েছে।

যুক্তিবাদী দার্শনিক ইবনে রুশদ্‌কে “যুক্তিবাদীতার” উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয় আর বিপরীতে অসংখ্য ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেমদের চিন্তাধারাকে অবজ্ঞা করা হয়। পাশ্চাত্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিন্ন সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে বিশেষভাবে ইসলামকে বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে এমন পদ্ধতি সূচনা করার এখনই যথার্থ সময় যা আদর্শগত বিষয়াদি ও সম্মিলিত ভীতি দ্বারা পরিচালিত হবে না।

“প্রতিক্রিয়াশীলতা ও সন্ত্রাসবাদের” বিরুদ্ধে “বৈশ্বিক যুদ্ধ” সমসাময়িক ইসলামিক স্টাডিজকে ভয়ংকরভাবে উপযোগবাদী রাজনৈতিক বিবেচনা দ্বারা আচ্ছন্ন একটি বিষয়ে পরিণত করে তুলেছে যার পরিবর্তে এ বিষয়ের একটি সামগ্রিক ভিশন তৈরী করে দেওয়া প্রয়োজন।

যদি আমরা সভ্যতার বৈচিত্র্য লালন, সংলাপের প্রযোজনীয়তা, সার্বজনীন মূল্যবোধ প্রসারের ব্যাপারে আন্তরিক হয়ে থাকি তবে অতিস্বত্তর আমাদের কারিকুলামের বিষয়বস্তু নিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে কোর্স পড়ানো হয় তাতে অবশ্যই ধর্ম, ধর্মতত্ত্ব এবং ধর্মতাত্ত্বিক গবেষণা, ইসলামী আইন ও আইনের দর্শনের শিক্ষাসমূহ অন্তর্ভূক্ত করা উচিত।

সাধারণভাবে এটি ধরে নেওয়া হয় যে প্র্যাকটিসিং ইহুদী, খ্রিষ্টান, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা নিরপেক্ষভাবে তাদের একাডেমিক দায়িত্ব পালন করতে পারেন। অন্যদিকে মুসলিম একাডেমিশিয়ানরা এইক্ষেত্রে গুরুতর বাধার সম্মুখীন হন। প্র্যাকটিসিং মুসলিমরা তাদের নিরপেক্ষতার ব্যাপারে প্রশ্নের সম্মুখীন হন এবং তাদের কাছ থেকে পাশ্চাত্য মতাদর্শের সমর্থনে মতামত আশা করা হয়।

প্রচলিত সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদ এবং ধর্মের এই সমস্ত অপব্যবহারকে “ইসলামী কর্তৃপক্ষ” প্রত্যাখ্যান করবেন এ বিষয়ে জোর দেওয়ার ফলে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে বিকাশমান একটা দুনিয়া আমাদের কাছ থেকে আড়াল হয়ে যাচ্ছে। মরক্কো হতে ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র হতে ইউরোপ ও তুর্কি হয়ে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত ইসলামী চিন্তার একটি নতুন এবং শক্তিশালী ধারার উত্থান ঘটছে। এ কাজ কেবলমাত্র পশ্চিমাদের নিকট পরিচিত এবং স্বীকৃত চিন্তাবিদদেরাই তা কিন্তু নয়।

বর্তমান সময়ে প্রতিটি ইসলামী সমাজেই পরিবর্তনের একটি হাওয়া বইছে। বুদ্ধিবৃত্তিক এই নবজাগরণের দিকে প্রতিটি ইসলামী স্টাডিজ কারিকুলামের বিশেষভাবে নজর দেওয়া উচিত যার অর্থ হল আরবী, ফার্সী, উর্দু এবং অন্যান্য ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন।

"ইসলাম এখনও মধ্যযুগীয় অবস্থায় বিরাজমান এবং পাশ্চাত্য ও আধুনিকতার সাথে তাল মেলানোর পূর্বে ইসলামকে বিবর্তনের ধারায় তার নিজস্ব রেঁনেসা সংঘটিত করতে হবে"- এই সরলীকৃত ধারণাকে কেবলমাত্র তখনই ইসলামিক স্টাডিজ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে। যখন এই ধরণের সরলীকৃত ধারণা একাডেমিক পূর্বশর্ত হয়ে দাঁড়ায় তখন ধর্ম ও সভ্যতার অধ্যয়ন একাডেমিক বা বস্তুনিরপেক্ষ থাকে না। এটি তখন মতাদর্শের হাতিয়ার হয়ে উঠে এবং আধিপত্যকে ন্যায্যতা দেয়।

সমসাময়িক ইসলামিক স্টাডিজকে অর্থবহভাবে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নিয়ে যেতে হলে আমাদের অবশ্যই একদিকে ইসলাম ও মুসলিম এবং অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন, ইসলামপন্থা ও ইসলামপন্থীদের আলাদাভাবে বিবেচনা করতে হবে। এটা করার পরেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানের যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তার গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা, সমালোচনা ও মূল্যায়নের সুযোগ থেকে যায়।

বুদ্ধিবৃত্তিক ধারাকে সচেতনভাবে অবজ্ঞা করার মাধ্যমে অথবা অজ্ঞতার কারণে কিছু সহিংস দলকে যেভাবে ধর্মব্যাখ্যার একটি কর্তৃত্বশীল পক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হচ্ছে তাকে আর কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? খুব সম্ভবত ইবনে তাইমিয়া এই ব্যাপারে চমৎকার একটি উদাহরণ। তেরশ শতাব্দীর এই আলেমকে কেউ কেউ সম্পূর্ণভাবে চরমপন্থী চিন্তাবিদ মনে করেন। আজকের দিনের সহিংস ইসলামপন্থীদের কথা ও কাজ বর্তমানে এমন একটি বাতায়ন বা মাধ্যম হয়ে উঠেছে যার ভেতর দিয়ে ইসলামী ঐতিহ্য এবং ইসলামী চিন্তাবিদদের ব্যাখ্যা ও বিচার করা হচ্ছে।

সমসামায়িক ইসলামিক স্টাডিজ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন। সেটি হল জটিল, বহুস্তরের এবং বহুমাত্রিক এই জগতের সাথে এই বিষয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচিত করানো। অপরকে তার স্থানে রেখে বুঝতে হলে এর ভাষা, সংস্কৃতি, স্মৃতি এবং ইতিহাস, সামাজিক গতিধারা ও বিবর্তনের জ্ঞানই প্রয়োজনীয় মানদণ্ড। জনসংখ্যাতাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক হুমকি আকারে বিবেচনা করে বুঝা সম্ভব নয়।

যতোই পশ্চিমা মুসলিমরা ইসলামিক স্টাডিজে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছেন, তারা তাদের সাথে পশ্চিমা সমাজের ভেতরকার দৃষ্টিভঙ্গি ও বোঝাপড়া (insider’s knowledge) এবং সংবেদনশীলতা নিয়ে হাজির হচ্ছেন।

অন্যদিকে, অধ্যাপক এবং অন্যান্য যারা পাঠদান করছেন তারা পুরোনো দৃষ্টিভঙ্গিকে আরো বেশি গুরুত্ব দিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন। তাঁরা “ইসলামকে” বস্তুনিরপেক্ষ করে তুলতে এবং একে আরো সুসঙ্গত, আরো পরিপূর্ণ ও আরো বেশি একাডেমিক শিক্ষায় রুপ দেয়ার কাজ করছেন।

ইসলামিক স্টাডিজকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। রাজনীতিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক, অধ্যাপক এবং ছাত্রদের অবশ্যই এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে হবে; তাদের উচিত হবে একাডেমিক প্রতিষ্টানগুলো যে পাঠদান করছে তাকে গঠনমূলকভাবে পুনর্মূল্যায়ন করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা।

সূত্রঃ TariqRamadan.com

১৩৫৯

বার পঠিত

তারিক রমাদান

তারিক রমাদান একজন সুইস শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং লেখক। তারিক রমাদান ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসের টাইম ম্যাগাজিনের জরীপ অনুযায়ী একুশ শতকে পৃথিবীর সেরা ১০০ জন বিজ্ঞানী এবং চিন্তাবিদদের মধ্যে অন্যতম। তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ‘ফ্যাকাল্টি অফ অরিয়েন্টাল স্টাডিস’ এর ‘কন্টেমপরারি ইসলামিক স্টাডিস’ বিভাগের অধ্যাপক। এছাড়াও তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব বিভাগে অধ্যাপনা করেন। তিনি কাতার বিশ্ববিদ্যালয় এবং মালোয়েশিয়া পেরিলস বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের ভিসিটিং প্রফেসর। তিনি জাপানের দোশিশা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এবং কাতারের দোহায় অবস্থিত রিসার্চ সেন্টার অফ ইসলামিক লেজিসলেশন অ্যান্ড এথিক্স’ এর ডিরেক্টর। তিনি চিন্তা-গবেষণা বা ইজতিহাদের মাধ্যমে মুসলিম জীবনের সমস্যাগুলোর নতুন সমাধান এর জন্য সামাজিক বিজ্ঞান এবং ইসলামি ফিকাহ শাস্ত্রের মূলনীতি বা উসূল আল ফিকহ এর একটি নতুন সেতুবন্ধন তৈরীতে একটি পূনর্গঠনমূলক সংস্কারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ত্রিশটির বেশি বই লিখেছেন এবং সারা পৃথিবীর অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা করেছেন।

তারিক রমাদান জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন এবং ফরাসি সাহিত্যে স্নাতোকোত্তর (এম এ) ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ‘আররী ও ইসলাম শিক্ষা’-এ ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।

প্রফেসর রমাদান কায়রোর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে ক্লাসিক ইসলামী শিক্ষাদান পদ্ধতিতে অর্থাৎ গুরু-শিষ্য (ওয়ান-অন-ওয়ান) নিয়মে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন (৭টি বিষয়ে ইজাজাহ্‌)। যে শিক্ষা সমাপন করতে গড়ে ৬-৭ বছর লাগে, তারিক রমাদান অসাধারণ নৈপুণ্য আর দক্ষতার মাধ্যমে তা ২ বছরে (১৯৯২-৯৩) সম্পন্ন করেছিলেন। তাঁর পাঠদান শেষে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকার তাকে ইসলামী উসূল আল ফিকহ এর অনেকগুলো শাখায় সনদ (ইযাযাত) দান করেন। একটা সাক্ষাৎকারে তারিক রমাদান বলেছিলেন যে, তিনি আল-আজহারের দিনগুলোতে তিনি প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত লাগাতার পড়াশোনা করতেন।

তারিক রমাদান তাঁর লেখালেখি ও বক্তৃতার মাধ্যমে প্রাশ্চাত্যে মুসলমানদের বিষয়ে অনেক তর্কের অবসানের ক্ষেত্রে ও মুসলমান বিশ্বে ইসলামের পুনর্জাগরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বিশ্বব্যাপি, একাডেমিক ও সাধারণ পর্যায়ে, ধর্মতত্ত্ব, নীতিশাস্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার, পরিবেশ ও আন্তঃবিশ্বাস এবং সেইসাথে আন্তঃসাংস্কৃতিক বিষয়ে ব্যপকভাবে বক্তৃতা প্রদান করে থাকেন।

তি্নি ইউরোপের ব্রাসেলস এ অবস্থিত মুসলমানদের থিঙ্কট্যাংক “ইউরোপীয়ান মুসলিম নেটওয়ার্ক” এর সভাপতি। তিনি “ইন্টারন্যশনাল ইউনিয়ন অফ মুসলিম স্কলারস” এরও একজন সদস্য।

তাঁর উল্লেখযোগ্য বইসমূহ হলোঃ “Islam and the Arab Awakening”, (2012); “The Arab Awakening: Islam and the New Middle East”, (April 2012); “The Quest for Meaning, Developing a Philosophy of Pluralism”, (2010); “What I believe”, (2009); “Radical Reform, Islamic Ethics and Liberation”, (2008) প্রভৃতি।