ভারতীয় সংস্কৃতিতে মুসলিম অবদান
৮৬০ বার পঠিত
ড. মুহম্মদ এনামুল হক একজন বাঙালি ভাষাবিদ। বিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে, ১৯০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মাওলানা আমিন উল্লাহ।
গবেষক, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং সফল প্রশাসক ড. এনামুল হক চট্টগ্রামের রাউজান হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে পাস করেন এবং মোহসীন বৃত্তিলাভ করেন। ১৯২৫ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এফএ পাস করেন। ১৯২৭ সালে আরবিতে অনার্সসহ বিএ পাস করেন ওই কলেজ থেকেই। ১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাচ্যদেশীয় ভাষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এমএ পাস করেন। এই সাফল্যের জন্য তিনি জগত্তারিণী স্বর্ণপদক লাভ করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তার প্রিয় শিক্ষক ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের অনুরাগী ছিলেন। তাঁর অধীনে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৫ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
ড. এনামুল হক স্কুলের শিক্ষকতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পর্যন্ত ছিলেন। আমাদের গৌরবের প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৯৫৬ সালে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাংলা একাডেমীর প্রথম পরিচালক নিযুক্ত হন। বাংলা একাডেমীকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ড. এনামুল হকের অবদান সম্পর্কে লিখেছেন গবেষক, কথাশিল্পী বশীর আল হেলাল ‘বাংলা একাডেমীর ইতিহাস’ গ্রন্থে।
১৯৫৫ সালে তিনি পূর্ববাংলা স্কুল টেক্সট বুক বোর্ডের এবং ১৯৫৬ সালে পূর্ববাংলা সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন। ড. এনামুল হক স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন, আবার শিক্ষা বিভাগের সফল প্রশাসকও ছিলেন। সব ক্ষেত্রে তাঁর সততা ও নিষ্ঠা ছিল কিংবদন্তিতুল্য। তাই সব সরকারই তাকে দিয়ে কাজ আদায় করে নিয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন ড. আহমদ শরীফ।
‘শাশ্বত বঙ্গ’ গ্রন্থ দিয়ে যেমন আমরা কাজী আবদুল ওদুদের মনীষাকে সহজে অনুধাবন করি, তেমনি ড. মুহম্মদ এনামুল হকের মনীষাকে সহজে চিনতে হলে আশ্রয় নিতে হবে তার তিন খণ্ড ‘মনীষা-মঞ্জুষা’র। বাংলাভাষার উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে, বাঙালি সংস্কৃতির সেক্যুলার দর্শন সম্পর্কে, বাংলাভাষা তত্ত্বের ঐতিহ্য এবং বাঙালি ঐতিহ্য সম্পর্কে ড. হক ‘মনীষা-মঞ্জুষা’তে তাঁর সুদৃঢ় বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।
বাংলাভাষা ও বাংলা সাহিত্য, চর্যাপদের উদ্ভবকাল, ব্যাকরণের সংজ্ঞা ইত্যাদি বিষয়ে ড. হক ভাষাচার্য ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মত অকুণ্ঠচিত্তে গ্রহণ করেছেন, সে বিষয়ে যুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতো অস্বীকার করে বলেছেন যে, নবম শতাব্দীর আগে চর্??