ইসলামী আইনের উদ্দেশ্য

আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ এবং আত্নীয়-স্বজনকে দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে বারণ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা স্মরণ রাখ।” [সূরা নাহলঃ ৯০]

আয়াতটি বৃহৎ পরিসরে আমাদের জন্য ইসলামী আইনের উদ্দেশ্য ফুটিয়ে তোলে। এই আয়াত আইন প্রণয়নে সুবিচার, পারস্পরিক আচার-আচরণ ও পরিশ্রমের ক্ষেত্রে নির্ভুলতা, গুণাগুণ ও সদাচরণ বজায় রাখা, ধন সম্পদের প্রবাহের ব্যাপারে উদারতার জন্য আহবান করে। মানবজীবনের মহোত্তম গুণগুলো এবং এর সার্বিক কল্যাণের বিষয়টি উঠে এসেছে আয়াতটিতে।

ইসলামী আইনের উদ্দেশ্যসমূহ হচ্ছে ইসলামী আইনের অভীষ্ট লক্ষ্য যা ইসলাম তার আইনের মাধ্যমে অর্জন করতে চায়, বিশেষ করে মানবকল্যাণের ক্ষেত্রে। আল্লাহর অনেকগুলো নামের মধ্যে আছে আল-হাক্বিম (মহাজ্ঞানী) এবং আল-খাবির (সর্বজ্ঞাত)। তিনি আসমানে ও যমীনে যা করেন তার পিছনে সবসময়ই গভীর প্রজ্ঞা এবং উত্তম উদ্দেশ্য কাজ করে।

লক্ষণীয় যে, ইসলামী আইনের উদ্দেশ্যের ব্যাপারে কিছু মানুষ দুটো চরমপন্থার যেকোন একটিকে অবলম্বন করছে। একদিকে, একদল লোক ইসলামী আইনের উদ্দেশ্যের নামে ইসলামের আইনগুলোকেই উলটে ফেলার চেষ্টা করেছে, এমনকি তারা এ থেকে ইসলামের স্তম্ভস্বরূপ মৌলিক আহকামগুলোকেও রেহাই দেয় নি। তারা এ যুক্তি দেখায় যে, ইবাদতের উদ্দেশ্য হচ্ছে আত্মার উন্নয়ন আর কিছু লোক আত্মিক উৎকর্ষতার এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে যখন তাদের আর সালাত আদায়, রোযা রাখা বা হজ্জ্ব আদায়ের প্রয়োজন থাকে না।  এসব লোক মূলত ইসলামী আইনকে পুরোপুরি পরিত্যাগ করছে এবং একে এর ওহীর মূল থেকে বিচ্ছিন্ন করছে। প্রকৃতপক্ষে ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণ আনুগত্যের সাথে আমাদের নিজেদের সমর্পণ করা। আল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ণ হয়ে স্বীয় মুখমন্ডলকে আল্লাহ অভিমূখী করে, সে এক মজবুত হাতল ধারণ করে, সকল কর্মের পরিণাম আল্লাহর দিকে।” [সূরা লুক্বমানঃ ২২]

উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পুরোপুরি মানবীয় প্রচেষ্টার বলয়ে নয় বরং এটি নিহিত রয়েছে ইসলামের শিক্ষায়। একজন মুসলিম ইসলামের আইন ও মূলনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে কোন ন্যায়বিচার আশা করতে পারে না।

অপরদিকে অবস্থান করছে এমন সব লোক যারা ইসলামী আইনের বিভিন্ন ফতোয়াসমূহকে তাদের সময়-স্থানের প্রেক্ষিতে বিবেচনা না করে, গভীর বোঝাপড়ায় না গিয়ে এবং এ সকল বিষয়কে জ্ঞান-গবেষণার ঊর্ধ্বে রেখে ফতোয়াসমূহকেই ইসলামী আইনের উদ্দেশ্য ভেবে বসেছে। ইসলামী আইনের প্রতি তাদের এ দৃষ্টিভঙ্গীর মাধ্যমে তারা কোন হাদীস বা সাহাবার উক্তি অথবা আসমানী ওহীর কোন আইনসংক্রান্ত অংশের ব্যাপারে নিজেদের সংকীর্ণ ব্যক্তিগত বুঝকে ইসলামের সাধারণ মূলনীতির উপর চাপিয়ে দিচ্ছে এবং ইসলামের উদ্দেশ্যকে উপেক্ষা করে চলছে।

এটা সত্য যে, উসূল, ফিকাহ্‌, তাফসীর এবং ইতিহাসের বিভিন্ন শাখায় আমাদের পূর্বের আলেমরা যে মূল্যবান ঐতিহ্য রেখে গেছেন সেটি থেকে আমাদের মুখ ফেরানো যাবে না। এই ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করেই আমাদেরকে পবিত্র গ্রন্থ কুরআন এবং সুন্নাহর গবেষণায় রত হতে হবে; যে কোরআনের সামনে এবং পেছন, কোন দিক দিয়েই মিথ্যা অগ্রসর হতে পারে না এবং যেটি সর্বজ্ঞানী এবং প্রশংসনীয় সত্তা হতে নাযিলকৃত আর এই সুন্নাহ হচ্ছে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সুন্নাহ যিনি নিজ থেকে কোন কথা বলতেন না।

কোরআন ও সুন্নাহ বোঝার উপায় হচ্ছে এদের সুস্পষ্ট ও চূড়ান্ত বক্তব্য এবং বিস্তৃত আদেশসমূহ যেগুলো পৃথিবীতে এবং আখিরাতে মানবকল্যাণের নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা বিধান করে।

এ বিষয়টি আমরা দেখতে পাই যখন আল্লাহ বলেন, “তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিতনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না।” [সূরা আল-ইমরানঃ ৭]

ইসলামী আইনের উদ্দেশ্যসমূহ পাওয়া যাবে এর আহকামগুলোর পেছনের অন্তর্নিহিত কারণগুলোতে, যেগুলো বারবার উঠে এসেছে। এগুলোতে মানুষের সার্বিক কল্যাণকে বিবেচনা করা হয়েছে। এই উদ্দেশ্যসমূহ ইসলামী আইনে সংরক্ষিত আছে এবং যখন ইসলামের আহকামগুলোকে বিচ্ছিন্নভাবে না দেখে বাকি সবগুলোর সাথে একসাথে দেখা হয় তখন এগুলো একটি সংগতিপূর্ণ রূপ ধারণ করে। আল শাতিবীর মত যেসব আলেমরা ইসলামী আইনের উদ্দেশ্যসমূহের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ তারা জোর দিয়ে বলে থাকেন যে, ইসলামী আইনের উদ্দেশ্যসমূহ আবিষ্কার করতে হলে বিশদভাবে ইসলামী আইনকে সামগ্রিকরূপে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।

এই সাধারণ উদ্দেশ্যসমূহ বোঝার মাধ্যমেই ইসলামী আইনের পরিসর আরো বিস্তৃত হতে পারে যাতে মানুষের চাহিদা ও আকাঙ্খাগুলোকে ইসলাম এবং এর আইনী কাঠামোর মধ্যে থেকে পূরণ করা যায় এবং যাতে ইসলামী আইনের উৎসসমূহের প্রতিও বিশ্বস্ত থাকা যায়। এই উদ্দেশ্যসমূহ পূরণের মাধ্যমেই মানবজাতি পৃথিবীকে গড়ার পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে পারে।

আল্লাহ বলেন, “তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। যেমন তিনি শাসনকর্তৃত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে, যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন।” [সূরা নূরঃ ৫৫]

আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইজতিহাদের জন্য এমন সব ধীশক্তিসম্পন্ন লোক দরকার যাদের কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান থাকার পাশাপাশি এই সকল ঐশী বাণীর প্রতি অন্তর্দৃষ্টি এবং বুঝসম্পন্ন দৃষ্টিভঙ্গী থাকবে। আর এ ধীবোধ ইসলামী আইনের উদ্দেশ্য, কোন নির্দিষ্ট ফতোয়ার উদ্দেশ্য এবং ফকীহদের এসবের পেছনে যে উদ্দেশ্য কাজ করেছে তার উপর দৃষ্টিনিবদ্ধ করার মাধ্যমে অর্জিত হতে পারে। তা না হলে এ ইজতিহাদ হবে নামমাত্র ও অগভীর এবং এর ফল হবে ইসলামী আইন যে উদ্দেশ্য অর্জন করতে চায় তার বিপরীত।

একজন সাহাবী কখন খাওয়া বন্ধ করে দিনে রোযা শুরু করতে হবে এ সংক্রান্ত আয়াতটি যেভাবে বুঝেছিলেন তার উপর আমাদের নজর দেয়া উচিত। “......যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়।” [সূরা বাক্বারাঃ ১৮৭] এ আয়াতের অর্থ তিনি এভাবে বুঝেছিলেন যে, দিনের বেলা যতটুকু আলো উঠলে আক্ষরিক অর্থেই একটি কালো সুতো এবং একটি সাদা সুতোকে আলাদা করা যায় তখন থেকে রোযা শুরু করতে হবে।

নবী কারীম (সাঃ) এ সাহাবী সম্বন্ধে বলেছিলেন, “তাঁর বুঝ সীমাবদ্ধ।” আজকের যুগে এমন কত লোকই পাওয়া যাবে ইসলামী আইনের ব্যাপারে যাদের বুঝ এমনই সীমাবদ্ধ, যারা নিজের অজান্তেই অতিক্ষুদ্র এবং গৌণ বিষয়সমূহগুলোতে মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দেয় এবং ইসলামী আইনের উদ্দেশ্যসমূহকে উপেক্ষা করে চলে।

ইসলামী আইনের উদ্দেশ্যসমূহকে  বিবেচনা করা ছাড়া ইজতিহাদের প্রকৃত চর্চা সম্ভব নয়। এজন্যই আল শাতিবী আরবী ভাষার পাশাপাশি এই উদ্দেশ্যসমূহের (মাকাসিদ) জ্ঞান থাকাকে ইজতিহাদ চর্চার প্রয়োজনীয় শর্ত মনে করতেন কারণ এর মাধ্যমেই একজন ফক্বীহ ইসলাম মানবজীবনের যে প্রয়োজনীয়তা (জরুরীয়াত),  চাহিদা (হাজিয়াত) ও সৌন্দর্যবিধানকে (তাহসিনিয়াত) নিশ্চিত করতে চায় তা শনাক্ত করতে সক্ষম হবেন। একজন সীমাবদ্ধ বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি ইসলামী আইন বিস্তারিতভাবে মানুষের যেসব প্রয়োজনীয়তাকে নিশ্চিত করতে চায় তার সাথে সংগতিতে না এনেই ইসলামী আইনের কোন নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা অথবা সৌন্দর্যবিধানের ভিত্তিতে দেওয়া একটি ফতোয়াকে শরীয়াহর বৃহত্তর উদ্দেশ্য (মাকাসিদ) থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখতে পারে।

আলেমগণ গবেষণার মাধ্যমে এই প্রয়োজনীয়তাসমূহকে চিহ্নিত করেছেন এবং এদের সংখ্যা পাঁচে নির্ধারণ করেছেনঃ জীবন, দ্বীন, আকল (বুদ্ধিমত্তা), সম্মান এবং সম্পদ। বর্তমান যুগের কিছু আলেম ষষ্ঠ প্রয়োজনীয়তা হিসেবে ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও সমতা ইত্যাদি প্রস্তাব করছেন। আমার মতে, ষষ্ঠ প্রয়োজনীয়তা হিসেবে ‘সমাজ’ বা এর মত কিছু অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে যা একইসাথে সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সমতা এবং মানুষের মর্যাদা সবকিছুকেই অন্তর্ভূক্ত করবে।

আমরা পরিষ্কার দেখতে পাই, ইসলাম কিভাবে অনেক সময়ই অন্য অনেক কিছুর পরিবর্তে সমাজকে মুখ্য বিষয়বস্তু হিসেবে গণ্য করেছে। আমরা জামা’আতে সালাত আদায়, শুক্রবারের জুম’আর নামাজ এবং হজ্জ্বে এর প্রতিফলন দেখতে পাই।

আমরা দেখতে পাই কিভাবে নবী কারীম (সাঃ) এটার প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখেই কাবা শরীফকে এর আসল ভিত্তির উপর পুনঃনির্মাণ করা থেকে বিরত থাকেন।

বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করার সময় একজন ফক্বীহর জন্য এসব মূলনীতি মেনে চলা অবশ্যক, বিশেষ করে সেসব বিষয়ের ক্ষেত্রে যেগুলো ব্যতিক্রম এবং যেগুলোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত বিষয়টি নির্ধারণের জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। যখন একজন ফক্বীহ এসব বিষয় বিবেচনায় আনতে ব্যর্থ হন, তখন তা মানুষের ইসলামী আইনের মূল্যবোধের প্রতি সন্দেহ পোষণ করার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মানুষ যা দেখে থাকে তা হচ্ছে ইসলামী আইনের ভুল প্রতিনিধিত্ব এবং এর ভুল প্রয়োগ।

ইসলামী আইনের সব উদ্দেশ্যই সমানভাবে স্বচ্ছ নয়। এর কিছু সাধারণ মানুষের সামনে পরিষ্কার, যেমনঃ নৈতিক মূলনীতিসমূহ এবং জীবনের মৌলিক প্রয়োজনীয়তাসমূহ। অন্য উদ্দেশ্যগুলো উপলব্ধি করার জন্য প্রয়োজন ইজতিহাদী দৃষ্টিভঙ্গীসম্পন্ন চোখ কারণ সেগুলো সূক্ষ্মতর এবং তা বের করার জন্য প্রয়োজন গভীর গবেষণা। মূলত এ জায়গাতে এসেই ইজতিহাদের চর্চা হওয়া প্রয়োজন। এখানেই একজন মুজতাহিদ, যিনি ইসলামী আইনশাস্ত্রে গবেষণার জন্য জন্য যোগ্য, তার ভূমিকা পালন করেন। তিনি আইনের পবিত্র উৎসসমূহকে ইসলামী আইনের পবিত্র উৎসসমূহকে ইসলামী আইনের বিস্তৃত উদ্দেশ্যসমূহের আলোকে বুঝে থাকেন এবং তার এই জ্ঞানকে বাইরের জগতে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করে যথাযোগ্য ফতোয়া এনে হাজির করেন।

মুসলিম সমাজ এবং জনগণের ব্যাপারে ইসলাম কি চায় এ সম্বন্ধে মুসলিমদের মধ্যে গভীর উপলব্ধির অভাবে বর্তমানে ইসলামী আইনের উদ্দেশ্য বুঝার প্রয়োজনীয়তা আরো বেশী প্রকট হয়ে উঠেছে। স্বাধীনতার সুরক্ষা, জনগণের কার্যকলাপের যথাযোগ্য ব্যবস্থাপনা, তাদের মধ্যে সদগুণের চর্চা, অনাচার প্রতিরোধ, সম্পদের উন্নয়ন, সম্ভাবনার বিকাশসাধন, সমাজের ফলপ্রসূ সদস্য হওয়ার গুণ তাদের মধ্যে চিত্তনিষ্ঠ করা – ইসলাম এই বিষয়সমূহ সমকালীন মুসলমানদের নিকট প্রত্যাশা করে, বিশেষ করে যারা অনেক ফতোয়া সম্বন্ধে অবগত হলেও এগুলোর অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যের ব্যাপারে অজ্ঞ।

সূত্রঃ IslamToday.net

২২২০

বার পঠিত

সালমান আল আওদাহ্

শাইখ সালমান আল আওদাহ ১৯৫৫ সালে বুরাইদা শহরের নিকটবরতী আল-বাসর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি রিয়াদের ইমাম মুহাম্মদ বিন সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এরাবিক ল্যাংগুয়েজ ফ্যাকাল্টিতে ভর্তি হন। দুই বছর পড়াশোনার পর তিনি শরিয়াহ ফ্যাকাল্টিতে ভর্তি হন। এখান থেকে ডিগ্রী অর্জনের পর তিনি আল-কাসিমে ফিরে যান এবং বুরাইদার একাডেমিক ইনস্টিটিউটে অধ্যয়ন করেন। এরপর তিনি ইমাম মুহাম্মদ বিন সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ ও উসুল আদ-দ্বীনের ফ্যাকাল্টিতে ভর্তি হন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি লেকচারারের দায়িত্বও পালন করেন। তিনি শাইখ আব্দুল আজিজ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বা’জ, শাইখ মুহাম্মদ ইবন আল-উসাইমীন, আব্দুল্লাহ আব্দুল রহমান জিবরীন প্রমুখ শাইখের অধীনে অধ্যয়ন করেন। ২০০৩ সালে তিনি পি,এইচ,ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি পঞ্চাশ এর অধিক বই লিখেছেন।তিনি Islam Today ওয়েবসাইটের আরবি সংস্করণ পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত বক্তব্য দিয়ে থাকেন।